নিজস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিজেকে বিএনপি নেতা দাবী করা আব্দুস সামাদ পাখির নির্যাতনের ফিরিস্তি প্রতিনিয়তই বেরিয়ে আসছে।
ইতিমধ্যেই পাখির নানা অনিয়ম নির্যাতনের প্রতিবাদে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে তার বাড়িঘড় ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এরপর কুমারখালীতে বিএনপি ও জামায়াত একত্রিত হয়ে পাখির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে। এর পর থেকেই কুমারখালী থেকে গাঢাকা দিয়েছে আব্দুস সামাদ পাখি। এর পর থেকেই এলাকাবাসী নানা অভিযুগ নিয়ে পাখির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার কুষ্টিয়া কুমারখালীর কাজীপাড়ায় পাখির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী দুই সন্তানের জননী সৌদী প্রবাসী এক নারী।
ভুক্তভোগী ওই নারী কুমারখালী পৌরসভার এলঙ্গী পাড়া গ্রামের হোসেন আলী মেয়ে খুশি খাতুন। তিনি ৪ বছর ধরে সৌদী আবর ছিলেন। ভুক্তভোগী খুশি দুই সন্তানের জননী।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন, আমি যার মাধ্যম দিয়ে বিদেশ গিয়েছিলাম তার সাথে আমাকে না জানিয়ে আমার চাচা সামাদ টাকা দেই আমার চাচাতো বোনকে বিদেশ পাঠানোর জন্য। পরবর্তী কিছু টাকা বাকি থাকাতে বিদেশ যেতে পারছিলনা তখন আমার চাচা আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। পরে আমি তাকে বলি আমি তখন বলি যেহেতু এতোগুলা টাকা দিয়েছেন তাহলে এইটুকো কেনো বাকি রেখেছেন দিয়ে চলে আসেন এই কথাগুলোকে পুঁজি করে আমার চাচার পক্ষ নিয়ে আব্দুস সামাদ খান পাখি আমার বাড়িতে পলাশ, রনিসহ বেশি কয়েকজনে পাঠান যেনো আমার বাবা দ্রুত পাখির বাসাতে যান সেই মূহুর্তে।
তরিঘরি করে ডাকাতে আমার বাবা যেতে রাজি না হলে বাসার সামনেই আমার বাবাকে বেধরক মারপিট করে পাখির গুন্ডারা। সেসময় আমার ভাই ঠেকাতে আসলে তাকেও রাস্তাতে ফেলে মাইরপিট করে। অশ্রুশিক্ত কন্ঠে ভুক্তভোগী নারী খুশি বলেন মারপিট করেই শেষ হয়নি তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় অস্ত্রবাজ, চাঁদাবাজ পাখির অফিসে। সেখানে আমার বাবা, মা ও ভাইকে নানা হুমকি দেওয়া হয়। সেসময় আমি সৌদিতে ছিলাম আমাকে পাখি কল করে এবং হুমকি দিতে থাকে আমার রেখে আসা দুই মেয়ের ক্ষতি করবে।