আশরাফুল আলম,(ইবি) প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে ক্যাম্পাসে কোরআন তিলাওয়াত ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্রিকেট মাঠে আয়োজনটি করা হয়।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।এসময় ইফতার মাহফিল পরিচালনা করেন শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মিথুন রুমি ও অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহা-সচিব ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. শেখ জাকির হোসেন ছাড়াও অন্যান্য শিক্ষক কর্মকর্তাবৃন্দ।
ইফতার কর্মসূচিতে এসে শিক্ষার্থীরা বলেন, “বন্ধ ক্যাম্পাসে ইফতারের সময় অনেক শিক্ষার্থীর সমস্যা হয়। হলের ডাইনিংয়ে ইফতারের সুবিধা না থাকায় এবং আশপাশের দোকানগুলোর খাবারের মান খুব একটা ভালো না হওয়ায় আমাদের অসুবিধা হয়। কয়েকদিন আগে ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের জন্য ইফতারের আয়োজন করেছিল, আজকে ছাত্রদল করেছে। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করার জন্য ছাত্রদলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো কাজের প্রতিযোগিতা চালু থাকুক।
অধ্যাপক ড. মতিনুর রহমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এমন আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই। ছাত্রদলের প্রতিটি নেতাকর্মী সৃজনশীল কাজে যুক্ত হবেন, শিক্ষার্থীদের কাছে যাবেন এবং মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। মানুষের আশা ও ভালোবাসা অর্জন করাই হবে ছাত্রদলের আগামী দিনের শপথ।
জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, “এতদিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ইফতার আয়োজন ঘরোয়াভাবে হতো। দেশনায়ক তারেক রহমান সেই পদ্ধতি বদলে উন্মুক্তভাবে ইফতার আয়োজনের ব্যবস্থা চালু করেছেন। আমরা সবাই একসাথে ইফতার করব এবং প্রমাণ করব যে আমরা ঐক্যবদ্ধ।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দুই দশক ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছাত্র সংগঠন ছিল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিভিন্ন কমিটিভুক্ত সদস্যরা আজ ডিআইজি, সচিব। ছাত্রদলের কর্মীদের মতো মেধাবী আর কোনো সংগঠনে নেই। আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ার প্রথম পদক্ষেপ আজকের ইফতার মাহফিল।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “নব্বইয়ের অভ্যুত্থানে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রেখেছিল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করবে, গণমানুষের জন্য কাজ করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদের মূলমন্ত্র মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে। আজকের ইফতার মাহফিল আয়োজন করার জন্য ছাত্রদলকে আমি আন্তরিকভাবে সাধুবাদ জানাই।