খোকসা প্রতিনিধি: পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে সাধারণত নিত্যপণ্যের বাজারে দাম বৃদ্ধি পায়। তবে কুষ্টিয়ার খোকসা বাজারে দেখা গেছে ব্যতিক্রম চিত্র। বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকায় স্বস্তিতে রয়েছে ক্রেতারা।
সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে খোকসা বাজারের সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে সবজির সরবরাহ প্রচুর থাকায় দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। বেগুন, শসা, টমেটো, লাউ, পটোল ও করলার দাম ৪০-৫০ টাকার মধ্যে রয়েছে। তবে ঢ্যাঁড়স প্রতি কেজি ১০০ টাকা এবং ঝিঙে ও সজনে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। কাঁচা মরিচের দাম এক মাস আগে ৫০ টাকা কেজি ছিল, এখন ১০ টাকা কমে ৪০ টাকা রয়েছে।
প্রয়োজনীয় রমজান পণ্যের দাম স্থিতিশীল রমজান মাসের অতি প্রয়োজনীয় ছোলা, চিড়া, মুড়ি ও গুড়ের দামও স্থিতিশীল রয়েছে। ছোলার দাম প্রতি কেজি ১০০ টাকা। চিনির দাম কমে প্রতি কেজি ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগের তুলনায় কম। এছাড়া সয়াবিন তেলের খোলা প্রতি লিটার ১৮৫ টাকা এবং বোতলজাত তেল ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ, মুরগি ও মাংসের বাজার খোকসা বাজারে মাছ, মুরগি এবং মাংসের বাজারও স্বাভাবিক রয়েছে। মুরগি বিক্রেতা বিল্লাল জানান, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৮০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের চেয়ে ২০ টাকা কম। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া ক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকায় তারা স্বস্তিতে কেনাকাটা করতে পারছেন। সবজি বিক্রেতা জহুরুল ইসলাম জানান, গত এক মাস ধরে বাজারের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে, যা ক্রেতাদের জন্য সুখবর।
ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ভোজ্য তেলের দাম আরও কমতে পারে। বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে রোজার সময় ক্রেতারা আরও স্বস্তিতে বাজার করতে পারবেন।
এই পরিস্থিতি বজায় থাকলে রমজান মাসে কুষ্টিয়ার খোকসার ক্রেতাদের নিত্যপণ্য কেনাকাটায় আরও স্বস্তি আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।