- নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রতীতি বিদ্যালয়ের সামনে ছয় বছর বয়সী ইব্রাহিম আলী নামের এক প্লে শ্রেণীর ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যুর পরে সড়ক দুর্ঘটনার আতঙ্কে শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। স্কুলটি অবস্থিত কুষ্টিয়া খুলনা মহাসড়কের ধারে চৌড়হাঁস এলাকায়। উত্তরবঙ্গের সাথে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের জাতীয় সড়ক এই মহাসড়কটি। স্থানীয় বাচ্চাদের পড়ালেখার জন্য স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই স্কুলের শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ স্থানীয়। তবে জগতি আহমদপুর কলাবাড়ি মিনাপাড়া এলাকার অনেক শিক্ষার্থী এখানে পড়ালেখা করে। আজ প্লে শ্রেণীর এক নিষ্পাপ ছাত্রের মৃত্যুর পরে নড়েচড়ে বসেছে এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজ। অবৈধ বাহন বালি টানা ট্রলির সাথে দুর্ঘটনায় নিহত হয় ইব্রাহিম। ফোর লেনের জাতীয় মহাসড়কে বালির ট্রলি কিভাবে উঠলো এই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। হাইওয়ে পুলিশ ও কুষ্টিয়া ট্রাফিক বিভাগ কিভাবে এ জাতীয় অবৈধ গাড়ি চলতে দেয় এই নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে জনমনে। প্রতীতি বিদ্যালয়ের সামনে প্রায় প্রতিদিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় শিক্ষার্থীরা। এর আগেও বাবার সাথে স্কুল যাওয়ার পথে একই স্থানে প্রাণ হারায় এক নিষ্পাপ শিশু। সাধারণত স্কুলের ছোট ছোট কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ছুটির দৌড়ে বেরিয়ে আসে যা অভিভাবক বা স্কুল গার্ড নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন,এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়। জাতীয় মহাসড়কের পাশে স্কুলটি হলেও স্কুলের একজন মাত্র গার্ড রয়েছে স্কুলের গেটে। তিনি মাঝে মধ্যে দু একজন শিক্ষার্থীকে রাস্তা পার করে দিলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে পার হতে হয় পারিবারিক দায়িত্বে। জাতীয় মহাসড়কের পাশে স্কুলটি তৈরি হলেও সড়কে দেয়া নেই কোন গতিরোধক। এছাড়া সামনে স্কুল এমন কোন সতর্কতার সাইনবোর্ড ও চোখে পড়ে না। অভিভাবকরা বলছেন আজ ইব্রাহিমের মায়ের বুক খালি হলো। কাল আবার আর একজনের মায়ের বুক খালি হবে। তাই স্কুল এখান থেকে সরিয়ে তাদের নিজস্ব জায়গায় স্থানান্তর করা হোক কয়েক মাসের মধ্যে নতুবা স্কুলের সামনে ফুটওভার ব্রিজ তৈরি করে দেয়া হোক স্কুলের খরচে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের অনুমতিক্রমে এটি যদি তারা বাস্তবায়ন না করতে পারে তাহলে এই প্রাইভেট স্কুলটি বন্ধ করে দেয়া উচিত বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। উক্ত স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক হাসান জানান স্কুল কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা সত্বেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদী বলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে স্থানীয় মানুষ সবাই মিলে এই স্কুল এখান থেকে তুলে দেয়া হবে। স্কুলের শিক্ষক এবং কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার জন্য বারবার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। তবে তারা আজকের ঘটনায় স্থানীয় জনগণ ও অভিভাবকদের সড়ক অবরোধের মুখে পড়ে অত্র স্কুলের সভাপতি এবং ইসলামী ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ইকবাল হোসেন সকলকে আশ্বাস দেন দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
ফুটওভার ব্রিজ নতুবা স্কুল স্থানান্তরের দাবি অভিভাবকদের

আপনার মতামত লিখুন