ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সদ্য শেষ হওয়া ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫৩ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের অগাস্ট মাস থেকে টানা সাত মাস দুই বিলিয়নের ওপর প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স এসেছে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০২৪ সালের ফেব্রæয়ারিতে রেমিটেন্স এসেছিল ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন বা ২১৬ কোটি ডলার। চলতি বছরের একই সময়ে ১৭ দশমিক ১৩ শতাংশ রেমিটেন্স বেশি এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছর জানুয়ারিতে রেমিটেন্স এসেছে ২১৮ কোটি ডলার। গত মাসের চেয়ে ফেব্রæয়ারিতে রেমিটেন্স বেড়েছে ১৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রেমিটেন্সের প্রবাহ বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এ সময়ে রেমিটেন্স এসেছে ১৮ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন ১৪ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার।
গত বছর ডিসেম্বরে রেমিটেন্স এসেছিল ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার। একক মাসে এত বেশি রেমিটেন্স এসেছিল সাড়ে তিন বছর পর। ২০২০ সালের জুলাই মাসের পর এক মাসে বৈধ পথে এত বেশি প্রবাসী আয় আসেনি। ওই মাসে রেমিটেন্স এসেছিল ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধান বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে রেমিটেন্স পাঠানো শুরু করেছেন প্রবাসীরা। তাই রেমিটেন্সের প্রবাহ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তবে এটাও বলতে হবে যে হুন্ডির মার্কেট আগের মত নেই। তাই ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স বেশি আসছে।আগে প্রতি মাসে রেমিটেন্সের টার্গেট করা হত ২ বিলিয়ন ডলার। এখন থেকে প্রতি মাসে আড়াই বিলিয়ন টার্গেট