খোকসা প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন খোকসা উপজেলা শাখার সদস্য সচিব কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন আরিফুল ইসলাম। অদ্য ১৮ ই মার্চ সন্ধ্যা ৭.২০ মিনিটি টার সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন।
পদত্যাগপত্রে আরিফুল ইসলাম উল্লেখ করেন, বিতর্কিত কমিটি গঠনের সময়েই তিনি এবং তার সহযোদ্ধারা এই কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি বলেন, ১৩৩ সদস্য বিশিষ্ট যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তার অধিকাংশ সদস্যই কমিটির বিষয়ে অবগত ছিলেন না এবং তারা এই কমিটি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। কিন্তু জেলা কমিটির অনুরোধে আমরা তখন সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বিরত ছিলাম। জেলা কমিটি আশ্বাস দিয়েছিল যে, দ্রুত সময়ের মধ্যেই কমিটি সংশোধন করা হবে। কিন্তু তারা সেই আশ্বাস রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।”
তিনি দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিদিন কে আরও বলেন, জেলা কমিটির প্রতি আমার পূর্বের সম্মান ও ভালোবাসা ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তবে বিতর্কিত ও অযোগ্য নেতৃত্বের কারণে আমি কমিটিতে আর থাকতে চাই না। আমি যে সম্মান, ভালোবাসা ও বিশ্বাস অর্জন করেছি, তা কোন অনৈতিক বা দুর্নীতিগ্রস্ত নেতার কারণে নষ্ট হোক, সেটা চাই না।
আরিফুল ইসলাম তার পদত্যাগপত্রে খোকসার জুলাই বিপ্লবের বীরদের প্রতি স্বচ্ছতার দাবি জানান। তিনি উল্লেখ করেন, এ পর্যন্ত যে ২৬ জনের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ১০ জনের নাম সন্দেহজনক। আন্দোলনে অংশ না নিয়েও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়াটা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমি জেলা কমিটির কাছে অনুরোধ করছি, যেন এই তালিকায় শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়।
তিনি আরও বলেন, “জুলাই বিপ্লবে খোকসার অবদান কখনোই ছোট করে দেখা যাবে না। আমাদের শহীদ ভাই মারুফ ও মাহিমের আত্মত্যাগ যেন অবহেলিত না হয়। যারা এই শহীদী প্লাটফর্মকে কলুষিত করেছে, তাদের কর্মফল ভোগ করতেই হবে। শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যাবে না।”
আরিফুল ইসলাম তার বক্তব্যে ভবিষ্যতে যে কোনো ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “আপনাদের সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও যে কোনো যৌক্তিক আন্দোলন ও কর্মসূচিতে পাশে থাকবো।
এই পদত্যাগের ঘটনায় খোকসা ও কুষ্টিয়ায় ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।