ইসলাম প্রতিদিন | পর্বঃ ১১
রমজান আত্মশুদ্ধির মাস, আর এই মাসে দান-সদকার গুরুত্ব ও ফজিলত অসীম। ইসলাম আমাদের শুধু ইবাদত-বন্দেগির দিকেই উৎসাহ দেয়নি, বরং অসহায়দের সাহায্য করাকেও ইবাদত হিসেবে গণ্য করেছে। রমজান মাস দানশীলতা ও সহানুভূতির শিক্ষা দেয়, কারণ এই মাসে দান-সদকা করলে তার প্রতিদান বহুগুণে বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
দান-সদকার ফজিলত
আল্লাহ তাআলা বলেন,
“যারা আল্লাহর পথে স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তাদের দৃষ্টান্ত একটি শস্যবীজের মত, যা থেকে সাতটি শীষ উৎপন্ন হয়, প্রতিটি শীষে একশত করে দানা থাকে। আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা তা বহু গুণ বাড়িয়ে দেন। আল্লাহ মহান দাতা, মহাজ্ঞানী।” (সূরা আল-বাকারা: ২৬১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
“রমজানে উত্তম দান হলো ক্ষুধার্তকে আহার করানো।” (তিরমিজি)
রমজানে দান-সদকার বিশেষ গুরুত্ব
এই মাসে দান করলে সওয়াব অন্য সময়ের চেয়ে বহুগুণ বেশি হয়।
গরিব-অসহায় মানুষের কষ্ট লাঘব হয়, যা আমাদের মানবিক দায়িত্ব।
রোজাদারকে ইফতার করানো একটি বিশেষ সওয়াবের কাজ, যার মাধ্যমে গুনাহ মাফ হয়।
দান-সদকা মানুষের হৃদয়কে নম্র করে ও আত্মশুদ্ধির সুযোগ দেয়।
জাকাত ও সাধারণ দানের পার্থক্য
জাকাত হলো ফরজ ইবাদত, যা নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের ওপর নির্ধারিত।
সাদকা ও দান নফল ইবাদত, যা যে কেউ স্বেচ্ছায় করতে পারে।
কিভাবে দান-সদকা করা যায়?
গরিবদের জন্য ইফতারের আয়োজন করা
এতিম ও অসহায়দের সাহায্য করা
মসজিদ-মাদ্রাসা ও জনকল্যাণমূলক কাজে সহায়তা করা
আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে যারা অসচ্ছল, তাদের সহযোগিতা করা
উপসংহার
রমজান হলো সংযম ও সহানুভূতির মাস। এই মাসে দান-সদকা করলে দুনিয়া ও আখিরাতে তার উত্তম প্রতিদান পাওয়া যায়। তাই আমাদের উচিত রমজানে বেশি বেশি দান করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।
—
✍ কুষ্টিয়া প্রতিদিন | ইসলাম প্রতিদিন