নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য উৎসব আজ সমাপ্ত হলো। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ উৎসব ছিল বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অনন্য মিলনমেলা। উৎসবের প্রথম দিনে (৮ মে) ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন অন্তবর্তী কালীন সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সমাপনী দিনে (১০ মে) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম এবং শিলাইদহ কুঠিবাড়ির কাস্টোডিয়ান মো. আল আমিন। তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনে প্রতিদিনই ছিল আলোচনা সভা, রবীন্দ্রসংগীত, কবিতা আবৃত্তি, দলীয় নৃত্য ও রবীন্দ্রনাথের লেখা নাটক পরিবেশনা। জেলার সকল উপজেলা থেকে আগত শিল্পীরা কুঠিবাড়ির উন্মুক্ত মঞ্চে তাঁদের পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। এছাড়া, কুঠিবাড়ি চত্বরে বসেছিল বিশাল গ্রামীণ মেলা, যেখানে নানারকম পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন দোকানিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যানার, ফেস্টুন ও আলপনায় বর্ণিল কুঠিবাড়ি। কুঠিবাড়ি প্রাঙ্গণ জুড়ে লোকে লোকারণ্য। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। উৎসবের শেষ দিনে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাদর্শ ও তাঁর সৃষ্টিকর্মের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, কবিগুরুর সাহিত্য ও দর্শন শোষণ-বঞ্চনামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে চিরদিন বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করবে। উৎসবের সমাপ্তি হলেও কবিগুরুর চেতনা ও আদর্শ বাঙালির হৃদয়ে চিরকাল অম্লান থাকবে।