ইসলাম প্রতিদিন | পর্বঃ ৪
রমজান মাসের প্রতিটি মুহূর্তই অত্যন্ত বরকতময়। মহানবী (সা.) এই মাসকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করেছেন: প্রথম ১০ দিন রহমত (আল্লাহর দয়া), দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত (ক্ষমা) এবং শেষ ১০ দিন নাজাত (জাহান্নাম থেকে মুক্তি)। আজ আমরা আলোচনা করবো রমজানের প্রথম দশকের ফজিলত সম্পর্কে, যা কোরআন ও হাদিসের আলোকে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে।
কোরআনে রমজানের রহমতের উল্লেখ
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেছেন:
وَقُولُوا لِلنَّاسِ حُسْنًا
“তোমরা মানুষের সাথে সদ্ব্যবহার করো।” (সুরা বাকারা: ৮৩)
রমজানের প্রথম দশক রহমতের দশক। এই সময়ে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি অফুরন্ত দয়া ও করুণা বর্ষণ করেন। যারা আন্তরিকভাবে ইবাদত করে, তাদের জন্য রহমতের দরজা উন্মুক্ত হয়ে যায়।
হাদিসে প্রথম দশকের ফজিলত
হাদিসে এসেছে—
رَمَضَانُ شَهْرٌ أَوَّلُهُ رَحْمَةٌ وَأَوْسَطُهُ مَغْفِرَةٌ وَآخِرُهُ عِتْقٌ مِّنَ النَّارِ
“রমজান এমন একটি মাস, যার প্রথম অংশ রহমত, মধ্য অংশ মাগফিরাত এবং শেষ অংশ জাহান্নাম থেকে মুক্তি।” (বায়হাকী, শুআবুল ঈমান)
এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, প্রথম দশকে রহমতের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যারা এই সময়ে বেশি বেশি ইবাদত, দান-সদকা ও দোয়া করে, তারা আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ লাভ করে।
রমজানের প্রথম দশকে করণীয়
১. আস্তাগফার ও তওবা: আল্লাহর রহমত পেতে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত।
২. নফল ইবাদত: তাহাজ্জুদ, নফল রোজা ও কোরআন তিলাওয়াত করা।
3. দোয়া: মহানবী (সা.) বলেছেন—”রোজাদারের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।” (তিরমিজি)
৪. সদকা ও দান: দরিদ্রদের সাহায্য করা, এতিমদের প্রতি সদয় হওয়া।
উপসংহার
রমজানের প্রথম দশক রহমতের জন্য নির্ধারিত। এই সময়টিকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হলে ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়া বাড়িয়ে দিতে হবে। আল্লাহ যেন আমাদের এই দশকে রহমত লাভের সৌভাগ্য দান করেন, আমিন।