অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ জামিল আহমেদ হঠাৎ করেই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে ‘মুনীর চৌধুরী প্রথম জাতীয় নাট্যোৎসব’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রকাশ্যে পদত্যাগপত্র জমা দেন।অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি শিল্পকলার কর্মকাণ্ডে আমলাতান্ত্রিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলেন। স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারার হতাশা থেকেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, “ইদানিং ব্যাপকভাবে হস্তক্ষেপ হচ্ছে। আমি এখানে আর বিস্তারিত বললাম না।” এরপর মঞ্চে উপস্থিত শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেনের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন। তবে সচিব জানিয়েছেন, এই পদত্যাগপত্র গ্রহণের এখতিয়ার তার নেই। নিয়ম অনুযায়ী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার পরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।অধ্যাপক জামিল আহমেদ ২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দুই বছরের জন্য শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের সাড়ে পাঁচ মাসের মধ্যেই তিনি দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিলেন।তার পদত্যাগের ঘোষণার পর থেকেই শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা চলছে। পরবর্তী মহাপরিচালক কে হবেন, সেটি এখনো অনিশ্চিত। যেহেতু শনিবার ও রোববার সরকারি ছুটি, তাই সোমবারের (৩ মার্চ) আগে এ বিষয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসবে না।সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেকেই মনে করছেন, নতুন মহাপরিচালকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ হবে না। স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ না থাকলে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকেও নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হতে পারে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করবে, নাকি তাকে দায়িত্বে রাখার চেষ্টা করবে? আর যদি নতুন নিয়োগ হয়, তবে কে আসছেন এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে—সে বিষয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।