কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক নারীকে হাত পা বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় একজনকে আটক করেছেন থানা পুলিশ। সোমবার মামলার প্রধান আসামি ইদ্রিসকে আটক করে মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলা করেছেন নির্যাতিত নারী রুপালির ফুফু মাজেদা বেগম।
আসামিরা হলেন দয়ারামপুর গ্রামের সেকেন আলীর ছেলে ইদ্রিস, আসাদুল ও তার স্ত্রী নাছিমা খাতুন।
জানা যায়, জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দয়ারামপুর গ্রামের মৃত আলাই মোল্লার মেয়ে রুপালী খাতুনের উপজেলার কালোয়া গ্রামের মাবুদ নামক ব্যক্তির সাথে বিয়ে হয় প্রায় ১৫ বছর আগে। রুপলীর স্বামীর বাড়িতে বসবাসের জায়গা না থাকায় বাবার বাড়ি কুমারখালীতে স্থায়ীভাবে বাস করতে থাকেন। তাদের দুটি প্রতিবন্ধী সন্তান রয়েছে।
প্রায় দু —বছর আগে রুপালীর সাথে একই গ্রামের সেকেন আলীর ছেলে ইদ্রিসের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এবং এক পর্য়ায়ে ইদ্রিস তাকে বিয়ে করতে চায়। তিনি বিয়ের প্রস্তাবে রাজী নাহলে ইদ্রিস ১ বছর আগে অন্যত্র বিয়ে করেন। বিয়ের পরেও ইদ্রিস তার সাথে সম্পর্কে রাখার চেষ্টা করলে তিনি অসম্মতি জানান। গত সোমবার ইদ্রিস মোবাইলে কল দিয়ে তার স্ত্রী বাড়িতে নাই উল্লেখ করে যেতে বললে তিনি তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। সোমবার ভোরে তিনি ওয়াসরুমে যাবার জন্য রুম থেকে বের হলে ইদ্রিস ও তার ভাই আসাদুল তাকে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ইদ্রিসদের বাড়িতে নিয়ে হাত, পা ও মুখ বেঁধে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে। নির্যাতনের দুই ঘন্টা পর এলাকাবাসী, ইউপি সদস্য (মহিলা) ও গ্রাম পুলিশ তাকে হাত পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করেন। বর্তমানে আহত নারী কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোলায়মান শেখ জানান, এই ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন নির্যাতিত নারীর ফুফু। ইতিমধ্যে মামলার প্রধান আসামিকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।