প্রকাশের সময়: বুধবার, ৭ মে, ২০২৫ । ১২:৪৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট এর তারিখঃ শনিবার, ১০ মে ২০২৫

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে: পারমাণবিক সংঘাতের আশঙ্কা

অনলাইন ডেক্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক আবারও চরম উত্তেজনার পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন হিন্দু তীর্থযাত্রী নিহত হন। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তইবা ও দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টকে দায়ী করে। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ভারত ৬ মে রাতে “অপারেশন সিন্ধুর” নামে একটি সামরিক অভিযান চালায়, যার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে সন্ত্রাসী ঘাঁটি। পাকিস্তান এই হামলাকে “অযৌক্তিক যুদ্ধ ঘোষণা” হিসেবে অভিহিত করে। পাকিস্তান দাবি করে যে, এই হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছে, যার মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। তারা আরও দাবি করে যে, পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে এবং একটি ভারতীয় ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস করা হয়েছে। এই উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। তবে উভয় দেশই কঠোর প্রতিক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা একটি বৃহত্তর সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। এই ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে, ভিসা ও বাণিজ্য স্থগিত করেছে এবং সীমান্ত বন্ধ করেছে। ভারত ইন্দাস ওয়াটারস চুক্তি স্থগিত করেছে, যা ১৯৬০ সাল থেকে কার্যকর ছিল। পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্থগিত করেছে এবং আকাশপথ বন্ধ করেছে।

উভয় দেশই পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হওয়ায় এই উত্তেজনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে এটি একটি বিপর্যয়কর সংঘাতে রূপ নিতে পারে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুতর হুমকি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় মধ্যস্থতা ও উভয় দেশের সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে এই সংকটের সমাধান খুঁজে পাওয়া জরুরি।

প্রকাশাক ও সম্পাদক : সোহেল রানা। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: জাহিদ হাসান, মোবাইল : ০১৭১৪ ৫৯৮০৮০ ।। ঠিকানা: ৩৬/১ মাহাতাব উদ্দিন সড়ক কোটপাড়া কুষ্টিয়া।

প্রিন্ট করুন