নিজস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়ার প্রতীতি বিদ্যালয়ের সামনে আবারও সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর প্রাণহানি ঘটেছে। আজ (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) সকালে নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল মুসকান (৫) দ্রুতগামী একটি গাড়ির ধাক্কায় নিহত হয়। পরবর্তীতে তাকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হসপিটালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন “প্রচন্ড আঘাতে মস্তিষ্কের ভেতর প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে ,আপনারা দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যান” এবং যাত্রাপথেই ফুট ফুটে শিশু মুসকান না ফেরার দেশে যাত্রা করে। তথ্যসূত্রে জানা যায় কোন ছুটির পরে মায়ের সাথে রাস্তা পার হচ্ছিল অপর দিক থেকে আসা একটি অটোরিক্সা সজোরে ধাক্কা খায় মুসকান, তারপর তার মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে এবং সে রক্ত বমি করতে থাকে। ঠিক একই স্থানে মাত্র এক সপ্তাহ আগেই, ১৬ ফেব্রুয়ারি, একই স্থানে ট্রলির চাপায় প্লে শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ইব্রাহিম আলী (৬) মারা গিয়েছিল।
১৬ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় ইব্রাহিম তার দাদী মোছাঃ আনোয়ারা খাতুনের (৫৮) সঙ্গে রাস্তা পার হচ্ছিল। তখন দ্রুতগামী বালু বোঝাই ট্রলি তাকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দাদীও মারাত্মক আহত হয়ে অস্ত্রোপচারের পর এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।
আজকের দুর্ঘটনার পর স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা অভিযোগ করেছেন, প্রতীতি বিদ্যালয়ের সামনে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আগে এখানে গতিরোধক থাকলেও এখন তা নেই, এবং স্কুল শুরুর সময় রাস্তা পারাপারের জন্য কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা হয় না।
১৬ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর অভিভাবকরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি তুললেও কোনো পরিবর্তন আসেনি, যার ফলে আজকের দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এভাবে চলতে থাকলে আরও প্রাণহানি ঘটতে পারে।এদিকে, ১৬ ফেব্রুয়ারির দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখিয়ে ট্রলিতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং সড়ক অবরোধ করে। তবে আজকের ঘটনায় তেমন কোনো প্রতিবাদ হয়নি, তবে অভিভাবকরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন এবং দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।