নিজস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়া প্রতীতি বিদ্যালয় এর সামনে একই স্কুলের প্লে শ্রেণীর ছাত্র মোঃ ইব্রাহিম আলী (৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত ইব্রাহিম কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার অঞ্জন-গাছি গ্রামের আহসান হাবীব সোনা ও বিউটি আক্তার এর পুত্র। বাবার কর্মসূত্র তারা বটতৈল বিসিক এলাকায় বসবাস করতো। তথ্যসূত্রে জানা যায় সকাল ৮ টায় প্রতিদিনের মতো দাদী মোছাঃ আনোয়ারা খাতুন (৫৮) এর সাথে স্কুলে প্রবেশ করার উদ্দেশ্য রাস্তা পার হবার চেষ্টা করছিলেন তারা, ইতিমধ্যে একটি দ্রুতগামী বালু বোঝায় ট্রলি ঘটনাস্থলে ইব্রাহিম আলীকে চাপা দেয় এবং তার দাদীকে ঘটনাস্থল থেকে ১৫ থেকে ২০ হাত দূরে টেনে হিচড়ে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ইব্রাহিম ও তার দাদীকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হসপিটালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইব্রাহিমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং আনোয়ার খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় অস্ত্রপাচার এর জন্য অপারেশন রুমে পাঠানো হয় । এদিকেই স্কুলের সামনে ক্ষুব্ধ জনগণ ও অভিভাবকেরা ও ট্রলিতে আগুন দেয় এবং সড়ক অবরোধ করে, পরে হাইওয়ে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন ক্ষুব্ধ জনতার কাছে। অভিভাবকদের মতে এই ঘটনা নতুন নয় প্রতিটি স্কুলের সামনে প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটে আসছে । তাদের মতে স্কুলের প্রিন্সিপাল রাস্তা পারাপার এর বিষয়ে সন্তুষ্ট জনক পদক্ষেপ গ্রহণ করে না, এর আগে স্কুলের সামনে গতিরোধক ছিলো যার কারণে কিছুটা নিশ্চয়তা ছিল সড়ক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে। তারা আরো বলেন ছুটির সময় স্কুলের সামনে পারাপারের জন্য একজন দারোয়ান নিযুক্ত থাকলেও স্কুল শুরু হওয়ার সময় কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না । দুর্ঘটনার পর স্কুল ছুটি দিয়ে দিয়ে শিক্ষকেরা স্কুল থেকে বের হয়ে চলে যান এ সময় প্রিন্সিপাল কেউ তার চেম্বারে পাওয়া যায়নি। অভিভাবকদের মতে এভাবে অসাবধানতায় নিষ্পাপ প্রাণ ঝরতে থাকলে উক্ত স্কুল ত্যাগ করতে বাধ্য হবেন তারা। এর আগেও স্কুলের সামনে এক শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন এবং তার বাবা গুরুতর আহত হন। ট্রলির চালক ও হেলপার পালিয়ে গেলেও এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের হয়নি তবে উক্ত ট্রলিটি আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ । পরবর্তীতে স্কুল কমিটির সভাপতি ও ইসলামী ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ইকবাল হোসাইন এর আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন খুব দো জনতা ও অভিভাবকেরা ।