মাহমুদ হাসান রনি,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চোয়ারম্যানসহ ৩ জন বিএনপি নেতা কর্মিকে আটক করেছে।
রবিবার ভোরে দর্শনা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার সাথে জড়িত স্হানীয় ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও তিতুদহ গ্রামের মৃত শরিফ উদ্দিনের ছেলে তসলিম উদ্দিন সাগর (৪৫) গ্রীসনগর গ্রামের আ. খালেকের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৮) ও মৃত সাহেব আলির ছেলে আছের আলি মাদার (৪০) কে আটকসহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা বাশেঁর লাঠি, ধারালো হাসুয়া ও হাত কুড়ালী উদ্ধার করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সহকারি পুলিশ সুপার( ক্রাইম এন্ড অপস) কনক কান্তি দাস জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধিদের আটক অভিযান চলমান রয়েছে। এর আগে নিহত রফিকের স্ত্রী নাহিদা খাতুন বাদি হয়ে দর্শনা থানায় ৩৭ জনের নাম এবং অজ্ঞাত ২৫ জন মোট ৬২ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।এদিকে নিহত রফিকের মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে শনিবার রাত ১০ টার দিকে জেলা উপজেলা বিএনপি নেতা কর্মিদের উপস্থিতিতে রফিকের লাশ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়।
স্থানীয়রা ও দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর জানান, বেশ কিছুদিন ধরে অত্র থানার তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপি নেতাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতভেদ নিয়ে অন্তদ্বন্দ্ব চলে আসছিল। শনিবার (৮ মার্চ) আসন্ন ঈদুল ফিতরের ভিজিএফ চালের কার্ড ভাগ বন্টন নিয়ে তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া ও সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন টোটনের সাথে একই দলের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক রফিকের বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রথমে বিএনপি সভাপতি মিলন মিয়ার মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করা হলে সংঘর্ষ চরম আকার ধারন করে। মুহুর্তের মধ্যে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকে (৪৮) কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসময় উভয় পক্ষের প্রায় ৯/১০ জন আহত হয়।