ইসলাম প্রতিদিন | পর্ব: ০৮
রমজান মাস দোয়া কবুলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সময়। আল্লাহ তায়ালা এই পবিত্র মাসে বান্দাদের বিশেষভাবে ক্ষমা ও রহমত প্রদান করেন। হাদিসে এসেছে, “তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না— রোজাদারের ইফতারের সময়, ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া এবং মজলুমের (অত্যাচারিত ব্যক্তির) দোয়া।” (তিরমিজি: ৩৫৯৮)
দোয়া কবুলের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তসমূহ
1. সাহরির সময় – এ সময় আল্লাহর রহমত অবতীর্ণ হয়, তাই আন্তরিকভাবে দোয়া করলে কবুলের সম্ভাবনা বেশি।
2. রোজা রাখার সময় – সারা দিন রোজাদার ব্যক্তি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহের অধিকারী হন, তাই দোয়া করলে কবুল হওয়ার আশা করা যায়।
3. জুমার দিন ও জুমার খুতবার সময় – রমজানের প্রতিটি জুমা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এদিনে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
4. ইফতারের মুহূর্তে – নবিজি (সা.) বলেছেন, “রোজাদারের দোয়া ইফতারের সময় ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।” (ইবন মাজাহ: ১৭৫৩)
5. তারাবিহ ও তাহাজ্জুদ নামাজের পর – এ সময় দোয়া করলে তা আল্লাহ কবুল করেন বলে বহু হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
6. লাইলাতুল কদরের রাতে – কোরআনে এসেছে, “লাইলাতুল কদর হলো ১,০০০ মাসের চেয়েও উত্তম।” (সূরা আল-কদর: ৩) এই রাতে যে কোনো দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
আমাদের করণীয়ঃ
দোয়া করার আগে নিয়মিতভাবে ইস্তিগফার ও দরুদ শরিফ পড়া।
দোয়ায় আন্তরিকতা ও একাগ্রতা বজায় রাখা। নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, উম্মাহর জন্য ও দুনিয়া-আখিরাতের কল্যাণের জন্য দোয়া করা।
হালাল রুজির জন্য দোয়া করা, কারণ হারাম রুজি দোয়া কবুলের পথে বাধা হতে পারে। আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে দোয়া শুরু করা।
রমজান হলো দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ সময়। তাই আমাদের উচিত, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর নিকট বেশি বেশি দোয়া করা, যাতে তিনি আমাদের জীবনে বরকত ও রহমত দান করেন।